শেষ কবে সমুদ্রের গর্জন শুনেছেন খুব কাছে থেকে? সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত একসঙ্গে দেখতে চাইলেও কি মন চায় সাগরের ডাকে সাড়া দিতে? তাহলে এবার ঘুরে আসুন কুয়াকাটা—আর আমরা বলছি, কীভাবে সহজে যাবেন।
কুয়াকাটা—বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। দিগন্তজোড়া সমুদ্র, ঝাউবন আর শান্ত বাতাসে ভেসে বেড়ায় সাগরকন্যার ডাক। আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থান হিসেবে আপনার তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত।
কুয়াকাটা কোথায় অবস্থিত?
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নে অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, যা স্থানীয়ভাবে সাগরকন্যা নামে পরিচিত।
যেভাবে সহজে যাবেন কুয়াকাটা:
বাসে:
ঢাকার গাবতলী, সায়েদাবাদ কিংবা কল্যাণপুর থেকে শ্যামলী, সোহাগ, হানিফসহ অনেক পরিবহন কুয়াকাটায় যায়। বাসভেদে ভাড়া ৭৫০–১৬০০ টাকা, সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা।
লঞ্চে:
ঢাকা থেকে পটুয়াখালী বা বরিশাল লঞ্চে গিয়ে সেখান থেকে বাস বা সিএনজি করে কুয়াকাটা পৌঁছানো যায়। এই পথে যাত্রা আরামদায়ক, পাশাপাশি নদীর রোমাঞ্চও উপভোগ করতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন?
কুয়াকাটা ভ্রমণ গাইড বলছে, এখানে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০ টাকার মধ্যে হোটেল পাওয়া যায়। খাবারের জন্য আছে দেশীয় রান্না ও ফিশ বারবিকিউ, যা না খেলে ভ্রমণ অপূর্ণ!
দর্শনীয় স্থান:
সাগরের সাথে থাকছে কুয়াকাটার কুয়া, সীমা বৌদ্ধ মন্দির, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির জঙ্গল, ফাতরার বন ও ক্রাব আইল্যান্ড। স্পিডবোট বা মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে সহজেই ঘুরে আসা যায়।
টিপস:
সমুদ্রে নামার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, দামাদামি করে কেনাকাটা করুন, এবং পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।
এবার আর শুধু ভাবলে চলবে না—ব্যাগ গুছিয়ে এখনই কুয়াকাটা যাওয়ার প্ল্যান শুরু করে দিন। সূর্যোদয় আর সাগরের ঢেউ আপনাকে ডাকছে!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট