অবশেষে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুতে ছুটলো প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন!
আপনার কি মনে আছে, ট্রেনের ধীরগতির সেই ভোগান্তির দিনগুলো?
আর নয়! নতুন রেলসেতুর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ আরও দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন হলো।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস যমুনা রেলসেতু পার হয়। এভাবেই নতুন সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
❝এক নতুন ভোরের শুরু!❞
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান জানান, আপাতত একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে, তবে ১৮ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দুই লাইনে নিয়মিত ট্রেন চলবে।
কেন এই নতুন রেলসেতু?
✅ বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাটলের কারণে ট্রেনের গতি ছিল মাত্র ২০ কিমি/ঘণ্টা।
✅ এখন দ্রুতগতিতে ট্রেন চলাচল করবে, কমবে ভ্রমণের সময়।
✅ নতুন সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি – যা বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেলসেতু।
✅ একসঙ্গে দুটি লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল হবে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল।
💰 ১৬,৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর মূল অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (JICA)।
📅 ২০২০ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও, এর আগেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
🚄 এখন কি আরও দ্রুত পৌঁছানো যাবে?
নতুন রেলসেতু চালুর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কমে আসবে।
নতুন যুগের সুচনা হলো বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে!
আপনি কি নতুন সেতুর সুবিধা নিয়ে উচ্ছ্বসিত? কমেন্ট করুন, আপনার প্রথম ট্রিপের পরিকল্পনা কেমন? 🚆💬
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট