🔥 এতদিনেও কেন সরকারি ঘোষণা হয়নি?
বিদ্রোহী কবি, প্রেমের কবি, সাম্যের কবি—যে নামেই ডাকি না কেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
🔎 কেন নজরুল জাতীয় কবি?
✅ ১৯২৯ সালে কলকাতার এলবার্ট হলে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুসহ বিশিষ্টজনেরা নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
✅ ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিনি কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেন ও নাগরিকত্ব পান।
✅ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় তার কবিতা ও গান ছিল অনুপ্রেরণার উৎস।
✅ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সবসময় তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করেছেন।
✅ ২০১৮ সালে ‘কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন’ প্রণয়ন করা হয়, যেখানে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তবুও, এতদিন সরকারিভাবে ঘোষণাটি হয়নি। কিন্তু জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করে।
📢 সরকারের বক্তব্য কী?
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে:
📌 ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
📌 রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও গেজেট প্রকাশ করা এখন সময়ের দাবি ছিল।
📌 নজরুলের অবদান স্বীকৃত ও চিরস্থায়ী করতে এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
🛑 এতদিন কেন দেরি হলো?
বাংলাদেশের জনগণের কাছে নজরুল ছিলেন জাতীয় কবি। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অভাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিষয়টি গেজেটে লিপিবদ্ধ হয়নি।
📢 এবার প্রশ্ন: এই দেরি কি অন্যায়? নাকি এটা সময়ের প্রয়োজন ছিল?
📢 আপনার মতামত কী?
💬 নজরুলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কি যথার্থ হয়েছে? নাকি আরো আগেই হওয়া উচিত ছিল? মন্তব্য করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট