বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড়! তরুণদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। কিন্তু এই দলে কারা থাকছেন, কী হবে তাদের লক্ষ্য?
রাজনীতিতে পরিবর্তনের সুর! আজ বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (National Citizens Party – NCP)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গঠিত এই দল তরুণদের নেতৃত্বকে সামনে রেখে দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।
বিকেল তিনটায় শুরু হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—নেতৃত্বে আসছেন কারা?
নেতৃত্বে যারা থাকছেন
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ সাতটি পদ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে:
- প্রধান সমন্বয়কারী: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক: সামান্তা শারমিন
- যুগ্ম সমন্বয়ক: আবদুল হান্নান মাসউদ
- মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল): হাসনাত আবদুল্লাহ
- মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল): সারজিস আলম
- দপ্তর সম্পাদক: সালেহউদ্দিন সিফাত
- সদস্যসচিব: আখতার হোসেন
তবে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একজন নারী নেতৃত্ব আসতে পারেন, যেখানে আলোচনায় রয়েছেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারোয়ার, মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম।
কেন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’?
শুরুতে প্রস্তাবিত নাম ছিল ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’, কিন্তু নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ‘বিএনপি’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরিবর্তন করে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ রাখা হয়।
কাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে?
দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপি, সিপিবি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তরুণদের গণ-আন্দোলনের পরিধি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবি আরও জোরদার হয়েছে। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি সাংবিধানিক সংস্কার, ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে প্রাধান্য দেবে।
আপনার মতামত কী? নতুন এই রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আপনি কী ভাবছেন? কমেন্টে জানান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট