দেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’! কিন্তু ডেভিল কারা? এই অভিযানের লক্ষ্য আসলে কী?
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া যৌথবাহিনীর এই বিশেষ অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
অভিযানের মূল উদ্দেশ্য কী?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানিয়েছেন,
➡️ যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের আটক করা হবে।
➡️ সুনির্দিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
➡️ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হবে না।
কিন্তু ‘ডেভিল’ বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে?
বিভিন্ন পুলিশের বক্তব্যে ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে—
✅ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মিডিয়া কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন:
“যারা বেশি শয়তানি করবে, তাদের ধরতেই এই অভিযান।”
✅ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার:
“ডেভিল মানে সমাজের শত্রু। যে কোনো অপরাধীই ডেভিল।”
✅ সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম:
“যারা শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করছে, তারা এই অভিযানের আওতায় আসবে।”
👉 তবে মানবাধিকারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন—এই অভিযান কি স্বাভাবিক নাগরিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে?
মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ:
👤 রেজাউর রহমান লেনিন (মানবাধিকার কর্মী):
“অপারেশন ডেভিল হান্ট নামটাই ভয়ংকর! এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বেচ্ছাচারী করে তুলতে পারে।”
এই অভিযানের ফলাফল কী?
🔹 এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ১,৩০৮ জন।
🔹 পুলিশের দাবি, অভিযান চলবে যতক্ষণ না ‘ডেভিল’ ধরা পড়ে!
👉 আপনার মতে, এই অভিযান কি সঠিক পথে যাচ্ছে নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছে? কমেন্ট করুন ও শেয়ার করুন!
⚠️ ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এই অভিযান কি অপরাধ দমনের জন্য নাকি ভয়ের নতুন নাম? আপনার মতামত দিন!