বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে আদানির উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল বাংলাদেশ!
❓ বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ কেন করল বাংলাদেশ?
👉 ঘটনার বিস্তারিত:
গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসছে। কিন্তু গ্রীষ্ম মৌসুম সামনে রেখে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কায় এবার পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ।
📌 কীভাবে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে?
- ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট।
- ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে, যার মধ্যে একটি ইউনিট গত নভেম্বর থেকে বন্ধ ছিল।
- এখন বাংলাদেশ দুটি ইউনিট থেকেই পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চাইছে।
🧐 বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকটের কারণ:
- শীতের সময় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় এবং বকেয়া পরিশোধ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে গিয়েছিল।
- বাংলাদেশ ডলার সংকটে আছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেনি।
- আদানি গ্রুপের সাথে বিদ্যুৎমূল্য নিয়েও বিরোধ রয়েছে, কারণ বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত বিদ্যুতের দাম অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুতের তুলনায় প্রায় ৫৫% বেশি!
⚠️ আদানির সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি নিয়ে বিতর্ক:
- আদানির বিদ্যুৎ চুক্তি ২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
- ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার এই চুক্তি বাংলাদেশের জন্য আর্থিকভাবে কতটা লাভজনক, তা পর্যালোচনা করতে আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে।
- আদানি গ্রুপ দাবি করছে, বাংলাদেশ তাদের কাছে ৯০ কোটি ডলার বকেয়া রেখেছে, তবে বাংলাদেশ বলছে এই পরিমাণ ৬৫ কোটি ডলার।
📢 এই চুক্তি কি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নাকি বোঝা?
বিশ্লেষকদের মতে,
“বিদ্যুৎ চুক্তির শর্তগুলো পুনরায় মূল্যায়ন করা উচিত, কারণ বাংলাদেশ এখন ডলার সংকটের মধ্যে রয়েছে।”
📢 আপনার মতামত কী?
এই চুক্তি কি বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো হবে নাকি শুধুই ঋণের বোঝা বাড়াবে? কমেন্টে জানান!
📲 এই খবরটি শেয়ার করুন, কারণ এটি দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে!
👉 আপনার মতামত দিন! আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ চুক্তি কি বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নাকি বাড়তি চাপ? কমেন্ট করুন ও শেয়ার করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট