কখনো কি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছেন—আপনি আসলে কোথা থেকে এসেছেন? আপনার ভাষা, পোশাক, বিশ্বাস, গান, এমনকি খাবার—সবকিছু কীভাবে তৈরি হলো?
বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এক বিশাল, গর্বিত যাত্রার নাম। প্রাচীন বাংলার সেই সময় থেকে শুরু করে আজকের ডিজিটাল যুগ—আমাদের প্রতিটি প্রজন্ম নিজের মতো করে গড়ে তুলেছে জীবনের ধারা, যা সময়ের সাথে হয়ে উঠেছে সংস্কৃতি। এটা শুধু আচার নয়, এটা আমাদের শিকড়, আমাদের আত্মা।
বাংলার প্রতিটি মাটির ঘর, নকশিকাঁথা, সুঁই-সুতা, মাটির হাঁড়ি কিংবা নদীর গান—সবই বলছে একটি গল্প। এই গল্পে আছে পরিশ্রমী কৃষকের হাতের মুঠো ভাত, আছে বাউল গায়কের গানের সুর, আছে মেলার উল্লাস আর আছে নদীর ধারে গীত গাওয়া গ্রামীণ মেয়ের অনুভব। আর শহরের দালানে দালানে গড়ে ওঠা আধুনিক যান্ত্রিক জীবন—সব মিলেই বাংলাদেশ।
আমাদের সংস্কৃতির বস্তুগত অংশ যেমন ঘর, পোশাক, যানবাহন, খাবার—তেমনি আছে অবস্তুগত অংশ, যেমন ধর্মীয় বিশ্বাস, আদর্শ, গান, সাহিত্য ও ভাষা। এই দুই একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। যেমন, নকশিকাঁথা শুধু কাপড় নয়—এটা এক নারীর কল্পনার শিল্প!
বাংলাদেশের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি। শহরের আধুনিকতা আর গ্রামের চিরায়ত ধারা—এই দুইয়ের সহাবস্থান আমাদের ইতিহাসকে করেছে সমৃদ্ধ। আর ভাষা? সেটাও তো বহুভাষার সংমিশ্রণে গড়া এক অসাধারণ ঐতিহ্য।
আপনার শিকড়কে জানুন, সংস্কৃতিকে ভালোবাসুন। এই ঐতিহ্য শুধু গর্ব করার নয়—এটা রক্ষা করারও। এই খবর শেয়ার করুন যেন আরও কেউ তার ইতিহাস জানতে আগ্রহী হয়।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট