আপনি কি জানেন, আজকের ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল লাখো ফিলিস্তিনিকে গৃহহীন করে? শুধুই যুদ্ধ নয়—এর পেছনে আছে শত বছরের চক্রান্ত, রাজনৈতিক নাটক, ধর্মীয় সংকট এবং বিশ্বশক্তির খেলা।
১৮৯৭ সালে থিওডর হার্জল নামে একজন ইহুদি নেতা শুরু করেন “সিওনিজম” আন্দোলন—যার লক্ষ্য ছিল ইহুদি জাতির জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন। ফিলিস্তিন অঞ্চলকে তারা বেছে নেয়, কারণ এটি ছিল তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্যের কেন্দ্র।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার দেয় ‘বেলফোর ঘোষণা’, যেখানে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য ‘জাতীয় আবাসভূমি’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপর ইউরোপ থেকে লাখ লাখ ইহুদি অভিবাসন শুরু করে ফিলিস্তিনে, আর ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দুটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেয়—একটি ইহুদি রাষ্ট্র ও একটি আরব রাষ্ট্র। ইহুদিরা মেনে নিলেও, আরবরা প্রত্যাখ্যান করে। পরের বছর, ১৪ মে ১৯৪৮ সালে, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা আসে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় যুদ্ধ, আর লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি চিরতরে নিজের ঘরছাড়া হয়ে পড়ে।
আজও অনেক মুসলিম দেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা এখনো তাদের ভূমি, অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য লড়ছে—কিন্তু বিশ্ব কি তাদের এই লড়াই দেখতে পাচ্ছে?
আপনার মতামত কী?
ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম নিয়ে আপনি কী ভাবেন? ফিলিস্তিনের পক্ষে নাকি অন্য কিছু ভাবছেন? নিচে কমেন্ট করুন এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন—এই ইতিহাস যেন বিস্মৃত না হয়।
ইতিহাস জানুন, অন্যায়কে প্রশ্ন করুন—এখনই কমেন্ট করে আপনার মত জানান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট