উত্তরা দিয়াবাড়ি মাইলস্টোনে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার বিস্তারিত
২০২৫ সালের ২১ জুলাই, সোমবার, বিকেলে, ঢাকার উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে একটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান (এফ-৭) বিধ্বস্ত হয়, যার ফলে একজন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের ভয়াবহ দুর্ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।
ঘটনার প্রভাব এবং পরিস্থিতি:
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটি বিকট শব্দ করে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ ভবনে আছড়ে পড়ে, যার ফলে আগুন এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের ভিতর। ঘটনা শুনে শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত সরে যান। সেখানকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করতে সাহায্য করতে শুরু করেন।
বিমানটির মডেল এবং দুর্ঘটনার সময়:
বিমানটি এফ-৭ জেট মডেল ছিল এবং এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ ফ্লাইট চলাকালে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১:০৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে, তবে মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে বিকট শব্দের সাথে ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি ও বহু আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী এবং কর্মীরা ছিল।
উদ্ধার প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা:
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিজিবি এবং সেনাবাহিনী দুটি প্লাটুন উদ্ধার এবং নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় যোগ দেয়। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এ ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া:
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া-তে ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওগুলিতে বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্ত এবং উদ্ধারকাজের দৃশ্য দেখা যায়। এতে অনেকেই শোক ও সহানুভূতি জানিয়ে পোস্ট করেন।
বিমান বাহিনী এবং দমকল বাহিনীর উদ্ধার প্রচেষ্টা:
দুর্ঘটনার পরপরই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর আহতদের উদ্ধার ও চিকিৎসার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। নিহত ও আহতদের স্থানান্তর এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট-এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। গুরুতর আহতদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আহতদের চিকিৎসা এবং পরিস্থিতি:
এতদূর জানা গেছে যে, ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে এবং কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং আহতদের জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। কিছু আহতের পোড়ানোর কারণে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিক্রিয়া:
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ দুর্ঘটনা হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এবং ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রাম-এ অনেকেই দুর্ঘটনার ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্ত এবং উদ্ধারকর্মীদের কাজ দেখানো হয়। সামাজিক মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ এবং শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ:
এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট না হলেও, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি বা পাইলটের ভুল একে অপরের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের শোক:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এমন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক এবং আমি পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি।”
তদন্তের অগ্রগতি:
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ বিমান দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি, তবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই ঘটনার কারণ চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক রিপোর্টে যান্ত্রিক ত্রুটি বা পাইলটের ভুল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।