হজ বা ওমরাহে যাচ্ছেন, কিন্তু ভয় পাচ্ছেন নিয়ম বা ধাপ ভুল হয়ে যাবে? আপনি একা নন—অনেকেই ঠিক এই ভয়েই পিছিয়ে যান।
হজ ও ওমরাহ মুসলিম জীবনের এক চূড়ান্ত আত্মিক অভিজ্ঞতা। হজ ফরজ আর ওমরাহ নফল ইবাদত হলেও, দুটোই আপনাকে আল্লাহর অনেক কাছাকাছি নিয়ে যায়। কিন্তু ভুল নিয়মে পালন করলে আত্মতৃপ্তি তো দূরে থাক, অনুশোচনায় পুড়তে হয়। তাই দরকার একদম সহজ করে বোঝা—ধাপে ধাপে হজ ও ওমরাহর গাইড।
হজ কী?
হজ হলো ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। এটি শুধুমাত্র জিলহজ মাসেই আদায় করা যায়।
ওমরাহ কী?
ওমরাহ নফল ইবাদত হলেও এর ফজিলত অনেক। বছরজুড়ে যে কোনো সময় এটি করা যায়। হজের কিছু অংশ এ ওমরাহতে থাকে: ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ, ও চুল কাটা।
হজ ও ওমরাহর ধাপগুলো সহজভাবে:
১. ইহরাম বাঁধা: ইহরামের কাপড় পরে নিয়ত করা হয়।
২. তাওয়াফ: কাবা শরিফের চারপাশে ৭ বার চক্কর।
৩. সাঈ: সাফা ও মারওয়ার মাঝে ৭ বার চলাফেরা।
৪. চুল কাটা: পুরুষেরা পুরো মাথা মুণ্ডন বা ছোট করেন, নারীরা সামান্য কেটে থাকেন।
হজের বিশেষ দিনগুলো সংক্ষেপে:
-
৮ জিলহজ: ইহরাম বাঁধা ও মিনায় যাত্রা
-
৯ জিলহজ: আরাফার ময়দানে অবস্থান
-
১০ জিলহজ: মুযদালিফা থেকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন
-
১১-১২ জিলহজ: জামারায় পাথর মারা
-
বিদায়ী তাওয়াফ: মক্কা ত্যাগের পূর্বে
প্রয়োজনীয় দোয়া:
-
লাব্বাইক: “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক…”
-
তাওয়াফ ও সাঈতে নিজ ভাষায় যে কোনো দোয়া বা ছোট সূরা পড়া যাবে।
কেন করবেন হজ বা ওমরাহ?
কারণ এটি গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ। রাসুল (সা.) বলেছেন—এক হজ আরেক হজের মাঝে গুনাহ ঝরে যায়।
স্মরণীয় পরামর্শ:
-
সব ধাপ মুখস্থ করার চেষ্টা নয়, বরং মনে রাখুন উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি।
-
ধৈর্য ও নম্রতা বজায় রাখুন।
-
ঝগড়া বা অহংকার থেকে দূরে থাকুন।
আপনার হজ বা ওমরাহ যাত্রাকে আত্মিক ও সুন্দর করতে এখনই এই গাইডটি শেয়ার করুন ও বুকমার্ক করে রাখুন। এক ভুলেই অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যেতে পারে—জানুন আগে, পালন করুন সঠিকভাবে!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট