💭 রমজানের মূল শিক্ষা কী? শুধু রোজা রাখা নাকি দানশীলতা ও সহানুভূতি দেখানো?
ইসলাম শুধু ইবাদতের ধর্ম নয়, বরং এটি একটি পুর্ণাঙ্গ মানবকল্যাণমূলক জীবনব্যবস্থা। রমজান মাস এই শিক্ষাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ, এ মাসের অন্যতম শিক্ষা হলো গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
📖 পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,
“তোমাদের সম্পদে গরিব-অসহায়দের অধিকার রয়েছে।” (সূরা আজ-জারিয়াত: ১৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
“যে ব্যক্তি নিজে পেট পুরে খায়, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে প্রকৃত ঈমানদার নয়।” (বায়হাকি)
“রমজান—সহানুভূতির মাস!”
📌 গরিবের কষ্ট বোঝার মাস
রমজানে দিনের বেলা পানাহার থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে ধনীরা গরিবদের কষ্ট অনুভব করতে পারে। এতে সহানুভূতির অনুভূতি জন্ম নেয়।
📌 দান ও সদকার গুরুত্ব
রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং রমজানে দানশীলতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিতেন। তিনি বলেন,
💬 “যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।” (ইবনে খুজাইমা)
📌 এ মাসেই গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ
রমজান মাসের অন্যতম সৌন্দর্য হলো ফিতরা ও জাকাত প্রদান করা, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে বড় ভূমিকা রাখে। সমাজের সামর্থ্যবানরা যদি রোজাদার গরিবদের জন্য ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করেন, তাহলে এই মাস সত্যিকার অর্থেই কল্যাণ বয়ে আনবে।
“আমরা কী করতে পারি?”
✅ নিজের আশেপাশের গরিবদের সাহায্য করা।
✅ ফিতরা ও জাকাত সময়মতো প্রদান করা।
✅ রোজাদার শ্রমজীবী ও পথচারীদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা।
✅ সহানুভূতি ও মানবিকতার হাত বাড়ানো।
📢 রমজানের প্রকৃত শিক্ষা শুধু রোজা নয়, বরং মানবতার সেবা! এবার আপনি কী করবেন? কমেন্টে জানান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট