আপনি কি কখনো একবার থেমে ভেবে দেখেছেন—আজ যদি মৃত্যু আসে, আমরা কতটা প্রস্তুত? 🌿
জীবন যেন চলছে দৌড়ে, অথচ শেষ ঠিকানার কথা প্রায় ভুলেই যাচ্ছি!
জন্মের সাথেই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। এই সত্যের মুখোমুখি হতেই হবে, তা আমরা মানি বা না মানি। পবিত্র কুরআন বলে,
“প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে” (সুরা আলে ইমরান, ১৮৫)।
মৃত্যু মনে রাখলে বদলে যায় জীবনের অগ্রাধিকার, বদলে যায় আচরণ।
✅ মৃত্যুর স্মরণ চরিত্র গঠনের মূল চাবিকাঠি:
যারা বারবার মৃত্যুকে স্মরণ করে, তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান বলে জানিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। কারণ তারা দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে গা ভাসিয়ে না দিয়ে আখিরাতের প্রস্তুতিতে মনোযোগ দেয়।
✅ অহংকার ভেঙে দেয়:
একদিন আমাদের সব সম্পদ, সম্মান, বড় বাড়ি সবই মাটির নিচে চাপা পড়ে যাবে। তাই অহংকার করার কিছু নেই—নম্র ও বিনয়ী হওয়াই প্রকৃত বুদ্ধিমত্তা।
✅ সময় শেষ হলে আর অবকাশ নেই:
মৃত্যুর মুহূর্ত এলে কেউ আর বলতে পারবে না—”আরেকটু সময় দাও!” তাই আজই সময় নিজের হিসাব ঠিক করার।
✅ জানাজায় অংশ নিন, কবর দেখুন:
অন্যের জানাজায় শরিক হলে নিজের মৃত্যুর কথা মনে পড়ে। এই স্মরণ আমাদের অহংকার ভেঙে দিয়ে বিনয় শেখায়।
✅ মৃত্যুর ভয় নয়, প্রস্তুতি:
জীবন ছোট। কষ্টে হাল ছেড়ে দেওয়া নয়, বরং দোয়া করুন—”হে আল্লাহ, আমাকে জীবিত রাখো যতদিন ভালো, আর মৃত্যু দাও যখন তা কল্যাণকর।”
মৃত্যু হলো স্মরণ করার জন্য, ভয় পাওয়ার জন্য নয়। আজ যদি ফিরে তাকাই, আমরা কি জীবনটাকে যথাযথভাবে সাজিয়েছি? এখনই সময়… নতুনভাবে শুরু করার।
আজ থেকেই প্রতিদিন অন্তত একবার মৃত্যুর কথা মনে করুন। নিজের চরিত্র, কাজ এবং ইবাদত ঠিক করুন। আপনার আজকের প্রস্তুতি হতে পারে চিরস্থায়ী সুখের চাবিকাঠি!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট