আপনি কি এমন একজন জীবনসঙ্গী চান, যার সাথে জীবন হবে শুধু সুখ, না-কি দায়িত্ব আর দ্বীনের পথচলার একসাথে প্রস্তুতি?
📖 মূল খবর:
ইসলামে বিয়েকে শুধু একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ সম্পর্ক নয়, বরং একে দ্বীনের অর্ধেক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের শুরুটা যদি হয় আবেগ আর না-জানা সিদ্ধান্তে, তাহলে সেই সংসার কি টিকবে?
আসল প্রস্তুতি কী?
-
আত্ম-পরিচয়: আপনি কে, আপনার দুর্বলতা কী, শক্তি কোথায়, তা আগে জানুন।
-
আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক: বিয়ে মানে দ্বীনের পথে একজন সঙ্গীর সাথে এগিয়ে চলা।
-
যোগাযোগ ও সহনশীলতা: বিয়ের পর শুধু ভালোবাসা নয়, লাগে ধৈর্য, সম্মান আর বোঝাপড়া।
-
দ্বায়িত্ব নিতে শেখা: পরিবার মানে দায়িত্ব। রান্না, বাজেট, রাগ নিয়ন্ত্রণ, সহমর্মিতা—সবই দরকারি।
ইসলামে বিয়ের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত?
🔹 রাসূল (সা.) বলেন, মেয়েদের বিয়ে করা হয় চারটি কারণে: সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্য এবং ধর্মপরায়ণতা। তাই তুমি ধার্মিক নারীকে গ্রহণ করো—তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে। (বুখারি, মুসলিম)
🔹 বিয়ের আগেই ইস্তিখারা নামাজ পড়া ও জ্ঞানী, ধর্মীয়ভাবে সচেতন অভিভাবকদের মতামত নেওয়া সুন্নত।
🔹 ইসলাম বলে, বিয়ে মানেই পরস্পরের “লিবাস” হওয়া—পোশাকের মতো করে ভালোবাসা, দয়া আর নিরাপত্তা দেওয়া।
📌 গুরুত্বপূর্ণ:
বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন—
-
আমি কি পরিবার গঠনের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?
-
আমি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সংসার গড়তে চাই?
-
আমি কি অন্য একজনের জীবনসঙ্গী হিসেবে সহানুভূতিশীল, সংযমী, দায়িত্বশীল হতে পারব?
🤲 সুন্দর দোয়া:
“হে আল্লাহ! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে আমাদের চোখের শীতলতা বানাও, এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের ইমাম বানাও।” (সূরা ফুরকান: ৭৪)
বিয়ে মানে শুধু সম্পর্ক নয়—এটি একটি আমানত। তাই আজই চিন্তা করুন, আপনি কি সত্যিই প্রস্তুত? আপনার পরিবার ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একবার মন খুলে ভাবুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট