রমজান শেষের আগেই কি আপনি ফিতরা আদায় করেছেন? অনেকেই জানেন না, কার ওপর ফিতরা ওয়াজিব এবং এটি কাকে দিতে হবে। অথচ এটি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত, যা রোজার শুদ্ধতার জন্য অপরিহার্য।
ফিতরা কার ওপর ওয়াজিব?
সদকাতুল ফিতর (ফিতরা) হলো একটি ফরজ ইবাদত, যা ঈদের আগে গরিব ও দুস্থদের জন্য সাহায্য হিসেবে নির্ধারিত।
✅ ইসলামিক বিধান অনুযায়ী, যার কাছে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় প্রয়োজনীয় খরচের অতিরিক্ত সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর সমমূল্যের সম্পদ আছে, তার ওপর ফিতরা ওয়াজিব।
✅ এই ফিতরা শুধু নিজের পক্ষ থেকে নয়, বরং পরিবারের শিশু থেকে শুরু করে সকল সদস্যের পক্ষ থেকেও আদায় করতে হবে।
✅ তবে জাকাতের মতো এক বছর সম্পদ রাখার শর্ত নেই।
কাকে দেবেন ফিতরা?
ফিতরার মূল উদ্দেশ্য হলো গরিবদের ঈদের আনন্দে সামিল করা। তাই—
☑ দরিদ্র ও অসহায় মানুষ
☑ যারা নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পোশাক কিনতে অক্ষম
☑ এতিম ও অভাবগ্রস্ত
☑ ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, যারা ঋণ শোধ করে জীবন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন
তবে, নিজের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা ভরণপোষণের অধিকারভুক্ত, তাদের ফিতরা দেওয়া যাবে না।
ফিতরার পরিমাণ কত?
ফিতরার নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে, যা বিভিন্ন খাদ্যশস্যের মূল্য অনুযায়ী দেওয়া যায়—
📌 গম/আটা – ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা ১১০ টাকা
📌 যব – ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ৫৩০ টাকা
📌 খেজুর – ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ২,৩১০ টাকা
📌 কিশমিশ – ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ১,৯৮০ টাকা
📌 পনির – ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা ২,৮০৫ টাকা
ফিতরা কখন আদায় করা উত্তম?
✅ ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করাই উত্তম, যাতে গরিবরাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
✅ তবে, কেউ যদি নির্ধারিত সময়ে আদায় করতে না পারেন, তাহলে পরে আদায়ের সুযোগ রয়েছে।
আপনার দায়িত্ব কী?
আপনার যদি ফিতরা দেওয়ার সামর্থ্য থাকে, তাহলে ঈদের আগেই তা আদায় করুন এবং অভাবীদের মুখে হাসি ফোটান। আপনার ফিতরার অর্থ হয়তো কারও জন্য নতুন কাপড়, খাবার, কিংবা ঈদের আনন্দের কারণ হতে পারে!
আপনি কি ফিতরা আদায় করেছেন? এবার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোত্তম ফিতরা দিন এবং অন্যদেরও জানাতে শেয়ার করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট