আপনি কি জানেন, শুধু নামাজ না পড়ার কারণেই অনেকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে পৌঁছে যাবে?
বন্ধুরা, আমরা যারা প্রতিদিন ব্যস্ততায় ছুটছি, কখনো ক্লাস, কখনো চাকরি, কখনো পার্টি—সবই করছি ঠিকঠাক। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ? সেটি কি ঠিকঠাক হচ্ছে? বাস্তবতা হলো, অনেকেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে। অথচ, নামাজ হলো আমাদের মুসলিম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকালের আগে সর্বশেষ যে বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন, তা হলো—নামাজ। তিনি বলেছেন, “নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।” (তিরমিজি, হাদিস : ৬১৬)
ভাবুন তো, আপনি প্রতিদিন এত কিছু করেন, কিন্তু যিনি আপনাকে সৃষ্টি করেছেন—তাঁর ডাকে সাড়া না দিলে, সেই অবহেলার ফলাফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে?
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, “জান্নাতবাসীরা জাহান্নামিদের জিজ্ঞেস করবে, ‘কী কারণে তোমরা জাহান্নামে গেলে?’ তারা বলবে, ‘আমরা নামাজ পড়তাম না…’” (সূরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৩)।
শুধু তাই নয়, যারা নামাজ ভুলে যায় বা অবহেলা করে, তাদের সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে—“তাদের জীবিকা হবে সংকীর্ণ, আর কিয়ামতের দিনে তারা অন্ধ হয়ে উঠবে।” (সূরা ত্ব-হা: ১২৪)
নামাজ না পড়া মানে শুধু গুনাহ নয়, বরং আল্লাহর দেওয়া এক বড় নেয়ামত থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা।
আমরা যদি একটু চিন্তা করি, যেসব কষ্টে আছি—মনের অশান্তি, জীবনের সমস্যাগুলো, রিজিকের টানাপোড়েন—সবকিছুর জন্য একমাত্র সমাধান হতে পারে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
বন্ধুর মতো একটি পরামর্শ—আজই নিজের সঙ্গে একটি চুক্তি করুন।
আজ থেকে এক ওয়াক্ত হলেও নামাজ শুরু করুন। এটিই হতে পারে আপনার জান্নাতের প্রথম ধাপ। আপনি পারেন। শুধু একটু চেষ্টা করুন।
👉 এখনই নিজেকে প্রশ্ন করুন—আমি কি আমার রাব্বের সামনে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত?
👉 স্ক্রল করার আগে—একটি নোট লিখে ফেলুন: “আজ থেকে আমি নামাজ ছাড়বো না!”
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট