ভেবে দেখেছেন কখনো—রাতের নিস্তব্ধতায় সৃষ্টিকর্তার সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদা কতটা শক্তিশালী ইবাদত? তাহাজ্জুদের সিজদা বদলে দিতে পারে আপনার পুরো জীবন।
তাহাজ্জুদ নামাজ হল এমন এক নফল ইবাদত, যা আল্লাহর কাছে আপনাকে আরও বেশি প্রিয় করে তোলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ ছাড়েননি। আমাদের জন্য ফরজ না হলেও, এতে রয়েছে অশেষ পুরস্কার।
✅ তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়বেন:
রাতের শেষাংশে, সুবহে সাদিকের আগে। ঘুম ভেঙে উঠে পড়া উত্তম, তবে ঘুমাতে না পারলে এশার পরও পড়া যায়।
✅ কত রাকাত:
২ থেকে ১২ রাকাত পর্যন্ত আদায় করা যায়। ২ রাকাতেও তাহাজ্জুদের ফজিলত পাওয়া সম্ভব।
✅ নিয়ত ও নিয়ম:
নিয়ত মনে করাই যথেষ্ট। চাইলে আরবি উচ্চারণ:
“নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবার।”
পড়ার নিয়ম অন্যান্য নামাজের মতোই—সানা, সুরা ফাতিহা, অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সেজদা করে শেষ করা।
✅ বিশেষ দোয়া ও তিলাওয়াত:
সুরা ইখলাস বারবার পড়া, আয়াতুল কুরসি, সুরা মুজ্জাম্মিল, সুরা ইনশিরাহ ইত্যাদি তিলাওয়াত করা উত্তম। ইচ্ছা করলে দীর্ঘ সেজদায় হৃদয়ের দোয়া করা যায়।
✅ তাহাজ্জুদের ফজিলত:
-
আল্লাহ নিজে বান্দাদের ডাকেন: “কে আছো যে চাবে আমি দেব, ক্ষমা চাইবে আমি মাফ করবো।”
-
শয়তানের প্রভাব দূর হয়।
-
মন-প্রাণের প্রশান্তি ও দুনিয়া-আখিরাতের উন্নতি নিশ্চিত হয়।
-
দাম্পত্য সম্পর্কও মজবুত হয় যদি দম্পতিরা একসঙ্গে তাহাজ্জুদে অংশ নেয়।
রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ যখন ডাকছেন, তখন কি আমরা নির্লিপ্ত থাকতে পারি? আজ যদি তাহাজ্জুদের সিজদায় পড়ে জীবন বদলে যায়—চেষ্টা করে দেখবেন না?
আজ রাত থেকেই ২ রাকাত তাহাজ্জুদ দিয়ে শুরু করুন। একটু কষ্ট হলেও এই সিজদার স্বাদ বদলে দেবে আপনার অন্তর আর নিয়তি!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট