তিনটি ধর্মগ্রন্থ কী?
ধর্মগ্রন্থ | প্রেরিত নবি | ধর্ম | বর্তমান অনুসারী |
---|---|---|---|
তাওরাত | হজরত মুসা (আ.) | ইহুদি ধর্ম | ইহুদি |
ইনজিল | হজরত ঈসা (আ.) | খ্রিস্ট ধর্ম | খ্রিস্টান |
কোরআন | হজরত মুহাম্মদ (সা.) | ইসলাম | মুসলমান |
✅ মিল/সাদৃশ্য:
-
আসমানি গ্রন্থ:
তিনটিই আসমান থেকে নাজিলকৃত, অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে। -
একক প্রেরক:
তিন ধর্মগ্রন্থই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কাছ থেকে এসেছে। -
নৈতিকতা ও মানবতার শিক্ষা:
প্রত্যেক গ্রন্থেই সৎ চরিত্র, অন্যায়ের প্রতিবাদ, দান, দয়া ও ইনসাফের কথা বলা হয়েছে। -
তাওহিদের শিক্ষা:
প্রাথমিকভাবে সব গ্রন্থই এক আল্লাহর ইবাদতের প্রতি আহ্বান করেছে। -
নবীদের প্রতি নির্দেশনা:
প্রত্যেক গ্রন্থ সংশ্লিষ্ট নবী ও তাঁর কওমের পথনির্দেশনা হিসেবে নাজিল হয়।
❌ অমিল/পার্থক্য:
-
রক্ষিততা:
-
কোরআন: আল্লাহর হিফাজতে আছে; কোনো পরিবর্তন হয়নি (সুরা হিজর, আয়াত ৯)।
-
তাওরাত ও ইনজিল: মূল অবিকৃত অবস্থায় নেই; মানুষের হাত লাগায় অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
-
-
শেষ ও চূড়ান্ত গ্রন্থ:
-
কোরআনই একমাত্র চূড়ান্ত ও সর্বশেষ গ্রন্থ; এর পর আর কোনো আসমানি কিতাব আসবে না।
-
-
পুরো মানবজাতির জন্য:
-
তাওরাত ও ইনজিল নির্দিষ্ট জাতির জন্য পাঠানো হয়েছিল (ইহুদি ও বনি ইসরাইল)।
-
কোরআন সর্ব মানবজাতির জন্য পথনির্দেশনা।
-
-
শরিয়তের পরিপূর্ণতা:
-
কোরআনে রয়েছে সম্পূর্ণ জীবন বিধান – ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্তরে।
-
-
সংরক্ষণের পদ্ধতি:
-
কোরআন মুখস্থ ও লিখিতভাবে যুগে যুগে হিফজ ও তিলাওয়াতের মাধ্যমে রক্ষা করা হয়েছে।
-
অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো ঐতিহাসিকভাবে এই পদ্ধতিতে সংরক্ষিত হয়নি।
-
🌟 সংক্ষেপে:
দিক | তাওরাত | ইনজিল | কোরআন |
---|---|---|---|
প্রেরিত | মুসা (আ.) | ঈসা (আ.) | মুহাম্মদ (সা.) |
জাতির জন্য | বনি ইসরাইল | বনি ইসরাইল | সারা বিশ্ব |
সংরক্ষিত | না | না | হ্যাঁ |
চূড়ান্ত | না | না | হ্যাঁ |
তিনটি গ্রন্থই এক আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, কিন্তু কেবল কোরআন-ই আজ পর্যন্ত অবিকৃত, সর্বজনীন এবং চূড়ান্ত নির্দেশনা হিসেবে মানবজাতির জন্য প্রেরিত।
কোরআনের আলোয় আলোকিত হতে চাইলে, প্রতিদিন অন্তত ৫ আয়াত করে অর্থসহ পড়া শুরু করুন—আজ থেকেই।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট