আপনি কি জানেন, সপ্তাহের এমন একটি দিন আছে, যখন আসমান-বিচার সব খুলে দেওয়া হয় মুমিনের দোয়ার জন্য?
এমন একটি সময় আছে, যখন আপনি যা চাইবেন, তা কবুল হবেই—শুধু জানতে হবে কবে, কখন, কীভাবে।
-
জুমার দিন হচ্ছে সাপ্তাহিক ঈদ
-
এই দিনেই আদম (আ.) সৃষ্টি, জান্নাতে প্রবেশ ও বের হওয়া
-
কেয়ামতও হবে এই দিনে
-
দোয়া কবুল হওয়ার নির্দিষ্ট সময় আছে
-
এই দিনের বিশেষ আমল যেমন দরুদ, কোরআন তিলাওয়াত, গোসল ও পরিষ্কার পোশাক
🌟 জুমার দিনের ফজিলত:
📌 ১. সপ্তাহের সেরা দিন
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য যে দিনে উদিত হয়, তার মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম।’ (মুসলিম: ৮৫৪)
📌 ২. দোয়া কবুলের রহস্যঘেরা মুহূর্ত
এই দিনে এমন একটি সময় আছে, যেখানে আল্লাহ বান্দার প্রতিটি দোয়া কবুল করেন—যদি সে নামাজরত থাকে। (বুখারি: ৬৪০০)
📌 ৩. দরুদ পাঠের সেরা সুযোগ
নবী (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন আমার উপর বেশি দরুদ পাঠ করো, তা আমার সামনে পেশ করা হয়।’ (আবু দাউদ: ১০৪৭)
✅ জুমার দিনের করণীয় আমল (সংক্ষিপ্তভাবে):
🔹 গোসল ও পরিষ্কার পোশাক পরিধান
🔹 মসজিদে আগে গিয়ে কোরআন তিলাওয়াত
🔹 সূরা কাহফ পাঠ (ফজিলত রয়েছে)
🔹 বেশি বেশি দরুদ পাঠ
🔹 খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা
🔹 দোয়ার সেই সময় খোঁজা—আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে সময় বেশি সম্ভাব্য
একটি দিন, যেখানে আপনি পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত রহমত, মাফ, বরকত—আর আপনি তা মিস করে ফেলছেন শুধু অবহেলায়?
ভেবে দেখুন, এই দিনেই হতে পারে আপনার জীবনের বড় কোনো সমস্যার সমাধান—শুধু একটুখানি ইবাদত, একটুখানি মনোযোগের অপেক্ষা।
👉 এই জুমা থেকে প্রতিজ্ঞা করুন—একটি জুমাও যেন খালি না যায়।
👉 পরিবারের সবাইকে নিয়ে জুমার দিনের আমলগুলো শুরু করুন।
👉 পোস্টটি শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে, যেন সবার জীবনে জুমা হয়ে ওঠে সত্যিকারের বরকতের দিন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট