তুমি কি এমন কিছু বলেছো যা কাউকে সামনাসামনি বলতে পারবে না?
হ্যাঁ, গীবত ঠিক এমনই এক পাপ—যা তুমি হাসতে হাসতে করলেও, তা তোমার নেক আমলকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়! এখনই সাবধান হও—কারণ, প্রতিদিন তোমার জিহবার কেবল এক মিনিটের ভুল, আখিরাতে তোমার সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে!
গীবত থেকে বাঁচতে চাও? তাহলে জেনে রাখো এই ৫টি সহজ উপায়
১. ❗ গীবতের ভয়াবহতা বুঝে ফেলো
গীবত করা যেন কারও মাংস খাওয়ার মতো! আল্লাহ নিজেই বলেছেন, “তোমরা কি তোমাদের মৃত ভাইয়ের মাংস খেতে পছন্দ করো?” (সূরা হুজরাত)। গীবত হলো এমন এক ঋণ, যেটা কিয়ামতের দিন তোমার নেকি দিয়েই শোধ করতে হবে।
২. 👅 নিজের জিহবাকে কন্ট্রোল করো
যতই ভালো ইবাদত করো না কেন, যদি জিহবা ঠিক না থাকে—সব হারিয়ে যাবে। কথা বলার আগে ভাবো, এটা কি সত্যি দরকার? দরকার না হলে চুপ থাকাই উত্তম।
৩. 🤫 ভালো না লাগলে চুপ থাকো
যখন কিছু বলার থাকে না, তখনই আমাদের মুখে চলে আসে গীবতের মত বাজে কথা। তাই রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।”
৪. 🧠 আল্লাহর যিকরে জিহবাকে ব্যস্ত রাখো
গীবত এড়াতে চাও? তাহলে জিহবায় রাখো ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’, ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’। এতে তোমার মুখ পবিত্র থাকবে, হৃদয়ও হালকা লাগবে।
৫. 🔁 নিজের ভুল আগে দেখো
অন্যের দোষ বলার আগে আয়নায় নিজের দিকে তাকাও। তোমারও ভুল আছে। অন্যের দোষ ঢেকে যাও, নিজেরটা ঠিক করো। এতে আল্লাহ তোমার প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন।
✅ এখন কী করবে?
বন্ধু, আজ থেকেই প্রতিজ্ঞা করো—কারও গীবত করবে না, গীবত শোনাও না। শেয়ার করো এই বার্তাটি, যাতে অন্যরাও এই ভয়ানক পাপ থেকে মুক্ত থাকে।
🕊️ আজই শুরু করো—নিজেকে গীবতের আগুন থেকে রক্ষা করো। নিচে কমেন্টে লিখো—“আমি গীবত মুক্ত থাকতে চাই”।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট