যার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ছিল অলৌকিক ও পূণ্যময়—তাঁকে কি সত্যিই হত্যা করা হয়েছিল, নাকি আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেছিলেন?
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ঈসা (আঃ)-এর জীবন ও তাঁর পরিণতি নিয়ে আলাদা মত প্রকাশ করলেও, পবিত্র কুরআন এই বিষয়ে দিয়েছে এক নির্ভুল ও অবিচল ব্যাখ্যা। হযরত ঈসা (আঃ) এর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে যা বলা হয়—তা আসলে কী সত্য?
একজন নিরপরাধ, শান্তিপ্রিয় নবী যিনি মানবতাকে ভালোবাসা, ক্ষমা আর আল্লাহর পথে ডেকেছেন—তাঁকে যদি সত্যিই খুন করা হতো, তাহলে মানবতার ওপর কী বার্তা আসতো? আমাদের বিশ্বাসের ভরসা কোথায় থাকতো?
হযরত ঈসা (আঃ)—যাঁর জন্ম হয়েছিল অলৌকিকভাবে, যাঁর মা মরিয়ম (আঃ) ছিলেন সব নারীর মধ্যে অন্যতম পবিত্র। তিনি ছিলেন মহান আল্লাহর প্রেরিত নবী—একজন সম্মানিত রাসূল। খ্রিস্টান ধর্মে তাঁকে যিশু নামে জানলেও, ইসলাম তাঁকে জানে ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ) নামে।
পবিত্র কুরআন অনুযায়ী, ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এমনকি ক্রুশবিদ্ধ করতেও পরিকল্পনা করেছিল। তবে, আল্লাহ তা’আলা স্পষ্টভাবে বলেন:
“তারা ঈসা (আঃ)-কে হত্যা করেনি, না তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে—বরং তাদের মনে একজন তাঁর অনুরূপ করে উপস্থাপন করা হয়েছিল।…” (সূরা আন-নিসা: ১৫৭)
অর্থাৎ, তারা এক ভুল ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং ঈসা (আঃ) জীবিত অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে জান্নাতে উঠিয়ে নেওয়া হয়। তিনি এখনো জীবিত এবং শেষ সময়ে দুনিয়ায় ফিরে আসবেন।
খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন, যিশু খ্রিস্ট (ঈসা আঃ) মৃত্যুবরণ করে তিনদিন পর পুনরুত্থিত হন। কিন্তু ইসলাম বলে, তাঁকে হত্যা করাই হয়নি। বরং, আল্লাহর কুদরতে তিনি রক্ষা পেয়েছেন।
👉 এখনই সত্য জানুন! কুরআনের আলোকে ঈসা (আঃ) কে ঘিরে থাকা রহস্যগুলো বুঝুন এবং ইসলামের মূল বাণী আপনার প্রিয়জনদের সাথেও শেয়ার করুন।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট