আপনার পাশের মানুষটি না খেয়ে আছে, অথচ আপনি নিশ্চিন্তে খাচ্ছেন—আপনি কি জানেন, এই আচরণে আপনার ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে?
ইসলামে প্রতিবেশী শুধু পাশের বাড়ির মানুষ নয়, বরং ৪০ ঘর দূর পর্যন্ত যে কেউ—তাকেও গণ্য করা হয় আপনার নিকটবর্তী মানবিক দায়িত্ব হিসেবে। রাসুল (সা.) এই সম্পর্ককে করেছেন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, জিবরাইল (আ.) তাঁকে প্রতিবেশীর হক এতবার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে মনে হচ্ছিল প্রতিবেশীকে হয়তো সম্পত্তিরও অংশীদার করে দিবেন!
আজ আমাদের সমাজে দ্বন্দ্ব, অভিযোগ আর উদাসীনতা যেখানে প্রতিদিন বাড়ছে, সেখানে একজন প্রতিবেশীর প্রতি সদাচরণ শুধু দুনিয়ার শান্তিই নয়—আখিরাতের সফলতার নিশ্চয়তাও হতে পারে। এক চুমুক স্যুপ, এক বাটি ভাত, একটুকু সহানুভূতি—এগুলো হতে পারে জান্নাতের চাবিকাঠি।
ইসলামের নির্দেশনায় প্রতিবেশীর হক:
-
🤝 প্রতিবেশীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না, যার অনিষ্ট থেকে প্রতিবেশী নিরাপদ নয়— (বুখারি)
-
🍲 ভালো খাবার ভাগ করে নেওয়া: “তরকারি রান্না করলে ঝোল বাড়িয়ে প্রতিবেশীকেও দাও।”
-
🏥 রোগ-শোক-দুঃখে পাশে থাকা: জানাজায় অংশ নেওয়া, খোঁজ রাখা, বিপদে সহায়তা করা।
-
🙊 প্রতিবেশীর দোষ গোপন রাখা: দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহও তার দোষ গোপন রাখেন।
-
🚫 নির্যাতন থেকে বিরত থাকা: এমনকি কথা, চাহনি কিংবা অবজ্ঞায়ও যেন আঘাত না আসে।
গাফিল হলেই কী হয়?
-
প্রতিবেশীর প্রতি নির্দয় আচরণ ঈমানের ঘাটতির প্রমাণ
-
সম্পর্কের অবনতি হয়ে দাঁড়ায় সমাজের অস্থিরতার শিকড়
-
জান্নাতের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে
আপনি কী করতে পারেন?
-
দিনে একবার হলেও প্রতিবেশীর খোঁজ নিন
-
ভালো কিছু রান্না হলে সামান্য হলেও পাঠান
-
প্রতিবেশীর সন্তানদের ভালোবাসুন
-
প্রয়োজনে পাশে থাকুন—বিনা স্বার্থে
চলুন, আজ থেকেই আমরা নিজেরা বদলাই। এই পোস্টটি শেয়ার করে জানিয়ে দিন—ইসলামে প্রতিবেশী কেবল পাশে থাকা মানুষ নয়, বরং জান্নাতের সিঁড়ি।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট