আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—আপনার সময়টা সত্যিই কোথায় যাচ্ছে?
দিন শেষে আমরা সবাই ক্লান্ত, ব্যস্ত আর একটু অবসর খুঁজে ফিরি। কিন্তু যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি, “আজ কী করলাম?” তখন হয়তো একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই থাকে না। অথচ আমাদের সময়—এটা কোনো সাধারণ সম্পদ নয়। ইসলাম বলছে, সময় হলো মানুষের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার ময়দান।
আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“সময়ের কসম, মানুষ নিশ্চিতভাবে ক্ষতির মধ্যে রয়েছে…” (সূরা আল-আসর)।
এই আয়াত আমাদের সময় ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
💡 চলুন জেনে নিই ইসলামিকভাবে সময় ব্যবস্থাপনার ৩টি প্রমাণিত উপায়—
১. আগেই ভাবুন, কিসে আপনার সময় নষ্ট হচ্ছে?
নবী (সা.) বলেছেন, “মৃত্যুর আগে জীবন, ব্যস্ততার আগে অবসর…” – এই হাদিস আমাদের শেখায় প্রতিটি মুহূর্তকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে। প্রতিদিন ৫ মিনিট নিন, ভাবুন কোথায় সময় নষ্ট হচ্ছে আর কীভাবে কাট ছাঁট করবেন।
২. অপ্রয়োজনীয় কাজকে না বলুন।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “মুমিনরা সফল যাঁরা বাজে কথা ও কাজ থেকে দূরে থাকে।” ফেসবুক স্ক্রলিং, অনর্থক আড্ডা—এইসব কেমন যেন সময়ের বরফ গলে যাওয়ার মতো! সময় নষ্ট হলে শুধু আপনার কাজ না, পুরো জীবন পিছিয়ে পড়ে।
৩. এক সময়ে একটি কাজ—কিন্তু পুরো মনোযোগ দিয়ে।
ইসলাম ‘ইহসান’ শিক্ষা দেয়, মানে কোনো কাজ এমনভাবে করা যেন আপনি আল্লাহকে দেখছেন। তাই এলোমেলোভাবে ১০টা কাজ করার চেয়ে, একটায় ১০০% মনোযোগ দিন।
⏳ বন্ধু, সময় চলে যাচ্ছে… আপনি কি প্রস্তুত আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটিকে কাজে লাগাতে?
👇 আজই একটি ছোট পরিকল্পনা নিন। শুরু হোক আপনার ইসলামিক টাইম ম্যানেজমেন্ট জার্নি!
আপনি যদি চান—আপনার সময় হোক সফলতার সিঁড়ি, এখনই শুরু করুন। আপনার নোটবুকে লিখে ফেলুন আগামীকালের ৩টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আর, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন—“আল্লাহ কি এতে খুশি হবেন?”
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট