আপনি কি এমন একজন মানুষ, যিনি জীবনে বারবার ধাক্কা খেয়ে ওঠে দাঁড়াতে চান? তাহলে একবার ভাবুন—একজন মানুষ, যাকে আগুনে ফেলা হয়েছিল, তবু সে পেছনে হাঁটেনি। কে ছিলেন তিনি?
সংক্ষিপ্ত ও প্রভাবশালী খবরের স্ক্রিপ্ট (৪০০ শব্দ):
হযরত ইব্রাহিম (আঃ)—নামটাই যেন হৃদয়ে ঈমান জাগায়। যাঁকে বলা হয় ‘আবুল আম্বিয়া’, নবীদের পিতা। তিনি এমন একজন মহান নবী, যিনি জীবনের প্রতিটি ধাপে আল্লাহর জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন—আর প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন ঈমানের শক্তিতে।
তাঁর জীবনের শুরু হয়েছিল মূর্তিপূজার বিরোধিতায়। নিজের পিতা আযর ছিলেন নামকরা মূর্তি নির্মাতা। কিন্তু তাওহীদের ডাক নিয়ে ইব্রাহিম (আঃ) নিজের পরিবার, সমাজ এমনকি রাজাকে পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। নমরূদের দরবারে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমার রব তিনিই, যিনি জীবন দেন, মৃত্যু দেন।” শুধু কথায় নয়—প্রমাণ দিয়েছেন আগুনে পড়েও! আগুন তাকে পোড়াতে পারেনি, বরং আল্লাহর হুকুমে ঠাণ্ডা ও শান্তি হয়ে উঠেছিল।
ইব্রাহিম (আঃ) এর জীবন মানেই আত্মত্যাগের প্রতীক। স্ত্রী হাজেরা ও নবজাতক পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে রেখে এসেছিলেন নির্জন মরুভূমিতে। একটুও দ্বিধা করেননি, কারণ এটি ছিল আল্লাহর নির্দেশ। সেই ইসমাঈলকে একদিন কুরবানি করতেও প্রস্তুত হয়েছিলেন—স্বপ্নে পেয়েছিলেন হুকুম। ঠিক তখনই আল্লাহ তাঁকে বড় পুরস্কারে ভূষিত করলেন।
তিনি নিজ হাতে কা’বা ঘর নির্মাণ করেছেন পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে নিয়ে, আর দোয়া করেছেন—“হে প্রভু, এই শহরকে করো নিরাপদ, আর এখান থেকে উঠুক এমন এক রাসূল, যিনি মানুষকে হেদায়াত করবেন।” সেই দোয়ার ফলই হলেন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)।
ইব্রাহিম (আঃ)-এর জীবনী শুধু ইতিহাস নয়, এটি আমাদের ঈমান, ধৈর্য ও ত্যাগের এক চিরন্তন পাঠ।
এমন আত্মত্যাগ ও আস্থার জীবনের গল্প কীভাবে আমাদের জীবনের দিক পরিবর্তন করতে পারে—তা জানতে চাইলে পুরোটা পড়ে নিন। এই অনুপ্রেরণা হারাবেন না।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট