আপনার চোখ কখনো ধরা পড়েছে—বিশ্বের যত বড় বড় ঘটনা ঘটে, তার পেছনে আমেরিকার নামটা কেন বারবার উঠে আসে?
বিষয়টা কাকতালীয় নয়, বরং সতর্কভাবে গড়া বিশ্বরাজনীতির এক অসাধারণ পরিকল্পনা!
আমেরিকা আজ শুধু একটি দেশ নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতীক, যেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি, মিডিয়া ও প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর ব্যাপক উপস্থিতি।
রাজনীতির মঞ্চে, আমেরিকার সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো।
জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় সব বড় কূটনৈতিক আলোচনায় তারা প্রভাব ফেলে। গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার উদাহরণ হিসেবে অনেক দেশই তাদের দেখিয়ে থাকে। অথচ বাস্তবতা এমন—হোয়াইট হাউজের পাশে যেমন স্যাটেলাইট পাঠানোর মানুষ থাকে, তেমনি ফুটপাতে রাত কাটানোও মানুষ থাকে। এই বৈপরীত্যটাই তাদের আলাদা করে!
বিশ্ব অর্থনীতির চালকের আসনে বসে থাকা আমেরিকা, তার উদ্ভাবন ও শিল্পোন্নত কাঠামোর জন্যই নয়—বরং অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট-এর মতো গ্লোবাল জায়ান্টদের জন্মস্থল হিসেবেও বিখ্যাত।
এছাড়া হলিউড, নেটফ্লিক্স, ইউটিউব—এই সব মিডিয়ার মাধ্যমে তারা শুধু বিনোদনই নয়, বরং সংস্কৃতি ও জীবনদর্শনও রপ্তানি করে!
তাহলে প্রশ্ন জাগে—চীন কিংবা রাশিয়া এত শক্তিশালী হয়েও কেন আমেরিকার মত দাপট দেখাতে পারে না?
এক কথায় উত্তর—“গণতন্ত্র এবং ওপেন কালচার।”
চীনের অর্থনীতি শক্ত হলেও, বাকস্বাধীনতা আর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব তাকে আমেরিকার মতো আদর্শ হতে দেয় না।
আমাদের মতো দেশগুলোর মানুষ হয়তো আমেরিকার ভক্ত নয়, কিন্তু সবাই সেখানে কী হচ্ছে সেটা জানতে চায়। এর কারণ আমাদের ভেতরের কৌতূহল—”আমরা না পারলেও, যারা পারছে, তাদের দেখি, বুঝি।”
আপনার চারপাশে যা ঘটছে, তা বোঝার জন্য আমেরিকাকে বাদ দিয়ে ভাবা যাবে না। তাহলে এখনই পুরো স্ক্রিপ্ট পড়ুন ও আপনার মতামত জানান—আপনার চোখে আসলেই কি আমেরিকা দুনিয়ার চালক?
https://khobor365.com/
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট