ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তা’ কি আসলে গাজার জন্য নতুন সংকেত, নাকি রাজনৈতিক চাল?
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও গাজার জনগণের উদ্দেশে ‘শেষ হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, গাজার জনগণ যদি অবশিষ্ট ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি না দেয়, তবে ভয়ংকর পরিণতি অপেক্ষা করছে।
📌 ট্রাম্পের সতর্কবার্তায় কী ছিল?
বুধবার (৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন,
➡️ “এটা আপনাদের জন্য শেষ সতর্কবার্তা! হামাস নেতাদের এখনই গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে।”
➡️ “গাজার জনগণের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, কিন্তু যদি তোমরা জিম্মিদের আটকে রাখো, তাহলে তোমরা সবাই মারা যাবে!”
হামাসের প্রতিক্রিয়া: নেতানিয়াহুকে উস্কানি দিচ্ছে ট্রাম্প!
হামাস ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তি বানচালের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছে।
📢 হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানৌয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন:
➡️ “ট্রাম্পের এই হুমকি আসলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি থেকে সরে আসতে উস্কানি দিচ্ছে।
➡️ “বন্দিদের মুক্তির জন্য একমাত্র পথ হল ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নে বাধ্য করা।”
বর্তমান পরিস্থিতি: গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে?
📌 গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে ১ মার্চ।
📌 দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, আর ইসরাইলকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
📌 ইসরাইল দ্বিতীয় ধাপে যেতে রাজি নয়, বরং বন্দিদের মুক্তির শর্ত দিয়ে আগের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
📌 হামাস তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
🚨 এখন প্রশ্ন হলো:
ট্রাম্প কি সত্যিই গাজার জনগণের ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ’ চান, নাকি তার লক্ষ্য ভিন্ন?
📢 আপনার মতামত দিন!
➡️ ট্রাম্পের এই বক্তব্য গাজায় সংকট বাড়াবে নাকি সমাধান আনবে?
➡️ আপনার দৃষ্টিতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কীভাবে শান্তি আসতে পারে?
কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট