ফিলিস্তিনিরা কি আবারও নিজেদের ভূমি হারানোর দ্বারপ্রান্তে? ১৯৪৮ সালের নাকবার ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি ফিলিস্তিনিরা, যেখানে লাখ লাখ মানুষকে তাদের নিজ দেশ থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিভীষিকাময় অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি কি আবারও ঘটতে যাচ্ছে?
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইসরাইল এখন গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার নতুন ষড়যন্ত্র করছে। এ যেন দ্বিতীয় নাকবার ইঙ্গিত!
গাজার মানুষের স্বপ্ন ও ইসরাইলের ষড়যন্ত্র
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর অনেক ফিলিস্তিনি তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত ঘরে ফিরতে শুরু করেন। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও ধ্বংসের মাঝেও তারা নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আবারও ধূলিসাৎ হতে চলেছে!
১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তর গাজায় ইসরাইলি ড্রোন থেকে এক ভয়াবহ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়,
💬 “তোমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় নাকবা থেকে বাঁচতে পারবে না!”
এই হুমকি ফিলিস্তিনিদের মনে ১৯৪৮ সালের দুঃসহ স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে, যখন ৭.৫ লাখের বেশি মানুষকে তাদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
কেন দ্বিতীয় নাকবার আশঙ্কা?
🔹 ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের মিশর বা জর্ডানে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে।
🔹 গাজার মানুষকে ধাপে ধাপে উৎখাত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
🔹 ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে গোপন বৈঠক হয়েছে এই বিষয়ে।
এটি যদি বাস্তবায়ন হয়, তবে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব চিরতরে মুছে যাবে!
ফিলিস্তিনিদের প্রতিজ্ঞা: “আমরা আর চলে যাব না!”
গাজার বাসিন্দা সুফিয়ান আবু গাসান বলেন,
🗣️ “ইসরাইল আমাদের বিতাড়িত করতে চায়, কিন্তু তা অসম্ভব। আমরা কেউই আর যাব না, এখানেই থাকব, এখানেই মরব!”
তিনি ও তার পরিবার ইতিমধ্যেই ৫ বার উদ্বাস্তু হয়েছেন, কিন্তু এবার তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চান।
ইসরাইলের পরিকল্পনা কি সফল হবে?
বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা কি ইসরাইলকে আরও নির্লজ্জ করে তুলছে? মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এটি আরেকটি জাতিগত নিধনের সুস্পষ্ট চেষ্টা।
আপনার মতামত দিন!
📢 ফিলিস্তিনের মানুষ কি আবারও উৎখাত হবে? নাকি এবার বিশ্ববাসী প্রতিবাদ করবে? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন!
📢 সর্বশেষ আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট