আপনি কি রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেন, কিন্তু ঘুম আসে না? অথবা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়, তারপর আর চোখ বন্ধ হয় না?
অনিদ্রা এখন সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করলে রাতের ঘুম নিশ্চিত করা সম্ভব।
১. ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময় রাখুন
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে স্থির করে।
২. ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে মোবাইল-ল্যাপটপ দূরে রাখুন
স্ক্রিনের নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগিয়ে রাখে, যা ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
৩. আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন
শান্ত, অন্ধকার ও ঠান্ডা ঘর ঘুমের জন্য আদর্শ। প্রয়োজন হলে লাইট ডিম করে দিন বা হালকা গন্ধযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন।
৪. রাতে ক্যাফেইন ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
কফি, চা বা চকলেট ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রাতে বেশি ভারী খাবার খেলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
৫. বিছানায় শুয়ে ঘুম না এলে উঠে পড়ুন
বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঘুমের অপেক্ষা করবেন না। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না এলে উঠে গিয়ে বই পড়ুন বা ধীর গতির কিছু করুন।
৬. মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া এবং ধ্যান করা মস্তিষ্ককে শান্ত করে ও ঘুম আনতে সাহায্য করে।
কবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
- যদি সপ্তাহে তিন দিনের বেশি ঘুম না আসে
- তিন মাসের বেশি সময় ধরে অনিদ্রা সমস্যা থাকে
- সারাদিন ক্লান্তি ও অবসাদ অনুভব হয়
ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তিই নয়, একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই আজ থেকেই ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ থাকুন!
CTA:
ঘুমের সমস্যা কমানোর এই কৌশলগুলো কেমন লাগলো? শেয়ার করে জানাতে ভুলবেন না!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট