🔥 এতদিন মাজার বস্তিতে কী ঘটছিল?
টঙ্গীর হাজী মাজার বস্তি – একসময় সাধারণ মানুষের বসবাসের জায়গা হলেও, ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছিল মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইকারীদের ঘাঁটিতে! স্থানীয়রা বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি… অবশেষে নামল যৌথ বাহিনী!
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বিত দল অভিযান চালিয়ে ৬০ জন সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিকে আটক করে।
🔎 অভিযানে কী পাওয়া গেল?
📌 মাদকদ্রব্য – বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য উদ্ধার
📌 নগদ টাকা – অবৈধ লেনদেনের টাকা জব্দ
📌 ছিনতাই ও ডাকাতির সরঞ্জাম – যা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কার্যক্রম চলছিল
এই অভিযানে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে – বস্তির ছোট ছোট ঘরগুলো শুধু বসবাসের জন্য নয়, বরং মাদক সেবন ও বিক্রির জন্য আলাদাভাবে ব্যবহার হতো!
🛑 এতদিন প্রশাসন চুপ ছিল কেন?
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।
🚨 পরিবহন শ্রমিকদের মূল টার্গেট করা হতো – গাড়িচালক ও যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি হতো!
🚨 মাজার বস্তিতে ‘গ্যাং কালচার’ – অপরাধীদের আলাদা চক্র সক্রিয় ছিল, যারা এলাকাবাসীকে ভয় দেখাত।
বহুবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হলেও তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভয়ঙ্কর চিত্র উন্মোচিত হলো!
📢 এবার কী হবে? অভিযান কি চলবে?
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলাম জানান,
🗣️ “এই অভিযান একদিনের জন্য নয়! পুরো রমজান মাস জুড়ে মাদক ও ছিনতাই দমনে বিশেষ অভিযান চলবে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে – এই ধরণের অপরাধমূলক কার্যক্রম কি সত্যিই বন্ধ হবে? নাকি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে?
📢 আপনার মতামত কী?
💬 টঙ্গী ও গাজীপুরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের আর কী করা উচিত? আপনার মতামত জানান!
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট