অনেকেই মনে করেন, ডিমের কুসুম মানেই চর্বি, মানেই বিপদ! বিশেষ করে ওজন কমাতে চান বা হার্টের সমস্যায় ভোগেন এমন ব্যক্তিরা কুসুম খাওয়াকে ভয় পান। অথচ ডিম খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে প্রচুর ভুল ধারণা ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আধুনিক গবেষণা বলছে—পুরো ডিম খাওয়ার মাঝেই আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল এবং হেলদি ফ্যাট।
চোখ, ত্বক ও হাড়ের যত্নে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিমের কুসুমে আছে ভিটামিন A, D, E, K, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, সেলেনিয়াম ও ফোলেট। এই উপাদানগুলো চোখের রোদের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বক ও চুল রাখে স্বাস্থ্যবান। এছাড়াও এতে থাকা ‘লুটিন’ ও ‘জিযান্থিন’ চোখের সুরক্ষা এবং গর্ভাশয়ের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে- ডিম খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই মনে করেন ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। তবে Harvard Health-এর মতে, ডিমে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট খুবই কম এবং তা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং রক্তে হেলদি কোলেস্টেরল ব্যালেন্স করে।
রক্ত ও হাড়ের যত্নে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম খেলে রক্তে লোহিত কণিকা বেড়ে যায়, হাড় মজবুত হয় এবং শরীর থাকে এনার্জিতে ভরপুর। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বয়স্কদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য।
রাতে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
অনেকেই প্রশ্ন করেন—রাতে ডিম খাওয়া কি নিরাপদ? হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বলেন রাতে সেদ্ধ ডিম খেলে ঘুম ভালো হয় এবং পেট দীর্ঘসময় ভরা থাকে, ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাসও কমে।
সঠিক ডিম বাছাই করবেন যেভাবে
বাজারে অনেক ধরনের ডিম পাওয়া যায়—ডেস্কে রাখা, ফার্ম ডিম, হাঁসের ডিম ইত্যাদি। তবে পুষ্টির দিক থেকে হাঁসের ডিমে ফ্যাট বেশি থাকলেও, মুরগির ডিমে ভিটামিন ও মিনারেলসের মাত্রা বেশি এবং রেগুলার খাওয়ার জন্য তা বেশি উপযোগী।
আজ থেকেই পুরো ডিম খান, কুসুম ফেলে নয়। ডিম খাওয়ার উপকারিতা শুধু শুনবেন না—নিজেই উপভোগ করুন, নিজেকে ও পরিবারকে দিন পরিপূর্ণ পুষ্টি।
খবর ৩৬৫ দিন, স্টাফ রিপোর্ট